বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে সারা দেশেই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এদিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় সব নদী বন্দরে তোলা হয়েছে সতর্ক সংকেত। সমুদ্র বন্দরের তিন নম্বর সংকেতও বহাল রাখা হয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা মৌসুমি নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গতকাল মৌসুমি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরে এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। আগামী তিনদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।